গণপ্রজাতন্তী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ১০ উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।

কর্মশালায় প্রধামন্ত্রীর বিশেষ ১০ উদ্ভাবনী উদ্যোগের বিষয়ে উপস্থাপন করেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোঃ রফিকুল হাসান ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন।

প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করার পাশাপাশি উদ্যোগ সমূহের বহুল প্রচারে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

কর্মশালায় জানানো হয় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, আশ্রয়ণ, শিক্ষা সহায়তা, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, পরিবেশ সুরক্ষা, বিনিয়োগ বিকাশ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ নামে পরিচিত।

এই উদ্যোগগুলো প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন ২০২১ অর্জনসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে এবং বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে উন্নীত করেছেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্ভাবনী বিশেষ উদ্যোগের প্রতিটিই অত্যন্ত চমকপ্রদ। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর অনেক উদ্যোগ রয়েছে। তবে তাঁর বিশেষ ১০ উদ্যোগ দেশকে বদলে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ১০ উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে আমরা এখন ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্বে নজির স্থাপন করেছি।

শেখ হাসিনার ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগের উদ্দেশ্য হচ্ছে আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে দেশ সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। মাঠে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

সরকারের সব উদ্যোগকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশকে আলোকিত করেছেন শেখ হাসিনা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ তাঁরই উদ্যোগ। দেশের ঘরে ঘরে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী হলো এমন একটি নিরাপদ বেড়াজাল, যার মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দেশের দরিদ্র জনগোষ্টির ভাগ্যয়ান্নয়ন করেছেন।

সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা দুস্থ, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধ মানুষকে সহায়তা করার জন্য সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যে মাসিক ভাতা চালু করেছিলেন, তাহা এখন সব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ, যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০০৯ সালে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দেশের সব মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিকাশ,

অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল অর্থনীতি ও ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলার ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করে বর্তমান সরকার। জনগণের দোরগোড়ায় সহজে,

দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়নে একযোগে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র্র উদ্বোধন করেন।

যা বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) নামে সুপরিচিত। এই সেন্টার থেকে গ্রামীণ জনপদের মানুষ খুব সহজেই তাঁদের বাড়ির কাছে পরিচিত পরিবেশে জীবন ও জীবিকা ভিত্তিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় সকল সেবা পাচ্ছেন।

ডিজিটাল সেন্টার সাধারণ মানুষের জীবনমান সহজ করার পাশাপাশি দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে দিয়েছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে, ঘরের কাছেই সব ধরনের সেবা পাওয়া সম্ভব। মানুষের এই বিশ্বাস অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলায় সবচেয়ে বড় পাওয়া।

এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সুফল দেশের প্রত্যেক মানুষ পাচ্ছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থানসহ এমন কোনো খাত নেই যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে না।

এটা সম্ভব হচ্ছে মূলত সারা দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে, যা গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম,

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার আহসানুল মিজান রুমি, উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা,

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল জববার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক চম্পা, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান,

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মহম্মদ আব্দুল লতীফ,

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ বজলুর রশিদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুলোক কুমার সিকদার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী, উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু,

প্রাথমিক শিক্ষা ইন্সট্রাক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ডের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আকমাল আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা, মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির পলাশ,

বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস, পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জসীম উদ্দীন,

সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর হোসেন, গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব, হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবু প্রমূখ।